বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
মোঃ রেজাউল করিম রয়েল, শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:: মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে ছারপত্র বিহীন অবৈধভাবে গড়ে ওঠা পরিবেশ বিধ্বংসী শিষা গলানো কারখানা।
জনবসতিপূর্ন ও দু’তিন ফসলী জমির এলাকায় এসব শিষা গালানো কারখানা স্থাপনের ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একাধিকবার অর্থদন্ড আদায় করলে কারখানাগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে। কয়েক মাস যাবৎ তাদের কার্যক্রম ফের শুরু করেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিষা গালানোর পাশাপাশি এ-সব কারখানায় তামা, পিতল, সিলভার গালানো হয়।
২০২২ সালে ইউ, এন, ও প্রনব কুমার ঘোষ অভিযান চালিয়ে ষোলঘরের কারখানাটি ধ্বংস করে দেন। সম্প্রতি ঐ কারখানাটি সোরহাব আলী নামক জনৈক ব্যক্তি শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কের কল্লিগাও গ্রামে স্থাপন করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বাকী ৩টি কারখানার অবস্থান হচ্ছে, শ্রীনগর তন্তর সড়কের বাড়ৈগাও নামক স্থানে একটি রুহুল ও অপরটি মাজেদ মিয়ার তত্ত্বাবধানে চলছে। চতুর্থ ভাট্টি কারখানাটি রয়েছে টুনিয়ামান্দ্রা সড়কের পাশে।
শ্রীনগরে শিষা গালানো কারখানা
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এক সময় এ-সব ঢালাই কারখানাগুলো ডেমরা থানার বিলাঞ্চলে ছিলো। ফসলী জমি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে প্রশাসন জ্বালিয়ে পুরিয়ে ধ্বংস করে দেয়। এরপর থেকেই সোরহাব আলীর নেতৃত্বে শ্রীনগরের বিভিন্ন ফসলের মাঠ ও জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠে পরিবেশ বিধ্বংসী এ-সব অবৈধ কারখানা।
বিধ্বংসী এ-সব অবৈধ কারখানার বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইন এর কাছে তার পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দু’চার দিনের মধ্যেই ব্যাবস্থা নেয়া হবে।